শুক্রবার রাতে উদয়পুর মহাকুমার কিল্লা থানাধীন কাইপেংভোলাই এলাকায় বোন জামাই কে শ্যালক পিটিয়ে মারে। এই হত্যার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা কিল্লা এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায় কাইপেংভোলাই এলাকার বাসিন্দা অনিল কুমার জমাতিয়া কে শুক্রবার রাত ৮.৫০ নাগাদ নিজ বাড়িতে উনার শ্যালক পদ্ম কুমার জমাতিয়া ৬-৭ জনকে সাথে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে এলোপ্যাথারে মারধর করেন। শ্যালক সহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের মারধরে গুরুতর আহত হন ভক্তিপতি অনিল কুমার জমাতিয়া। অভিযোগ শ্যালক সহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের মারধরে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পার্শ্ববর্তী লোকজন সহ অনিল কুমার এর ভাই এবং অন্যান্য পরিজনরা ছুটে আসলে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে কিল্লা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রেফার করা হয় গোমতী জেলা হাসপাতালে। অভিযোগ পরিবারের লোকজন তাকে জেলা হাসপাতালের না নিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ভোর সাড়ে ৪ টা নাগাদ নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয় অনিল কুমার জমাতিয়া(৫০) এর। এদিকে ঘটনার পর মৃতার শ্যালক পদ্ম কুমার জমাতিয়া কিল্লা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এদিকে এলাকা সূত্রে খবর অনিল কুমার জমাতিয়ার সাথে তার স্ত্রী-র পারিবারিক বিবাদ চলছিল। এই বিবাদকে কেন্দ্র করে পূর্বপরিকল্পনায় শুক্রবার রাতে তার স্ত্রী ঘরে মাছ রান্না করতে ভাই পদ্ম কুমার এর কাছে ফোন করে স্বামীকে মারার জন্য বললে, পদ্ম কুমার তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে নিজ বোন জামাইকে মারধোর করেন বলে। শনিবার কিল্লা থানার পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোমতী জেলা হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়।