দ্বারকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): সুদর্শন সেতু শুধুমাত্র সুবিধাই নয়, এটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিস্ময়ও বটে। রবিবার গুজরাটের দ্বারকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করার পর বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, “আজ, আমি সেই মুহূর্তগুলি অনুভব করেছি, যা আমার সঙ্গে চিরকাল থাকবে… আমি সমুদ্রের গভীরে গিয়ে প্রাচীন দ্বারকা শহরের ‘দর্শন’ করেছি। প্রত্নতাত্ত্বিকরা জলের নিচে লুকিয়ে থাকা দ্বারকা শহর নিয়ে অনেক লিখেছেন। আমাদের ধর্মগ্রন্থেও দ্বারকা সম্বন্ধে বলা হয়েছে যে, এটি ছিল সুন্দর দ্বার ও সুউচ্চ অট্টালিকা সম্বলিত একটি নগরী, যা পৃথিবীর চূড়ার মতো উঁচু। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজেই এই শহরটি তৈরি করেছিলেন… যখন আমি সমুদ্রের গভীরে গিয়েছিলাম, আমি দেবত্ব অনুভব করেছি… আমি দ্বারকাধীশের সামনে মাথা নত করেছিলাম। আমি আমার সাথে একটি ময়ূর পালক নিয়ে শ্রীকৃষ্ণের পায়ের কাছে রাখলাম। আমি আজ আবেগে পরিপূর্ণ… এক দশকের পুরনো স্বপ্ন আজ পূর্ণ হল।” প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, “সুদর্শন সেতু শুধুমাত্র একটি সুবিধাই নয়, এটি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিস্ময়ও বটে। স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রদের এসে সুদর্শন সেতু অধ্যয়ন করা উচিত। এটি ভারতের দীর্ঘতম কেবল সেতু।” প্রধানমন্ত্রীর কথায়, আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন স্থানীয়রা আমার সঙ্গে সেতুর কথা বলত… আমি তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের সামনে এটা তুলে ধরতাম, কিন্তু তারা কখনোই এই দিকে মনোযোগ দেয়নি… সুদর্শন সেতুর আলোর জন্য বিদ্যুৎ আসবে সেতুতে বসানো সোলার প্যানেল থেকেই।”