আগরতলা, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ঃ যোগ সাধনার সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। যোগা আমাদের দেশের ঐতিহ্য ও গর্ব। আজ আগরতলার নেতাজী সুভাষ আঞ্চলিক ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমসের সমাপ্তি এবং বিজয়ী দলগুলির মধ্যে মেডেল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের আগে দেশের জনগণের মধ্যে যোগব্যায়াম নিয়ে উৎসাহ সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় যোগা আজ বিশ্বের দরবারে পৌঁছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচেষ্টায় ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ছাত্র জীবনে পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলাও চালিয়ে যেতে হবে। খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত থাকলে ইতিবাচক চিন্তার বিকাশ ঘটে। খেলাধুলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে একে অপরের ভাষা, সংস্কৃতির পরিচয় ঘটে। যা আমাদের দেশের একটি সংস্কৃতি। বর্তমানে রাজ্যের মেয়েরাও ক্রীড়া জগৎ-এ সুনাম অর্জণ করছে। দেশের মেয়েরা এগিয়ে গেলে দেশও অগ্রসর হয়। রাজ্যের বর্তমান সরকার ক্রীড়ার উন্নতির ক্ষেত্রে অনেক আন্তরিক। ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নতি তথা ক্রীড়া জগৎ-এ নতুন প্রতিভা অন্বেষণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার নতুন নতুন প্রকল্প চালু করছে। ফলস্বরূপ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে রাজ্যের মেয়ে-ছেলেরা সুনাম। অর্জণ করছেন। তিনি বলেন, আমাদের রাজ্যের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে প্রতিভার অভাব নেই। যোগসাধনা তথা ক্রীড়ার মাধ্যমে সেই প্রতিভার বিকাশের সুযোগ রয়েছে। কারণ সুস্থ শরীর সুস্থ চিন্তার জন্ম দেয়। মুখ্যমন্ত্রী নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে বলেন, মেডেল জেতা মুখ্য উদ্দেশ্যে না, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণই হল নিজের স্বার্থকতা। অনুষ্ঠানে ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, রাজ্যের বর্তমান সরকার ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নতিতে অনেক আন্তরিক। রাজ্যের ছেলেমেয়েরা বর্তমানে জাতীয় তথা আন্তর্জাতিক স্তরে সুনাম অর্জণ করতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এশিয়ান গেমস, প্যারা অলিম্পিক গেমসে ত্রিপুরার ছেলে-মেয়েদের সফলতার সেই চিত্র প্রতিফলিত করে। রাজ্যের বর্তমান সরকার ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নতির স্বার্থে এবং ক্রীড়াবিদদের উন্নতির স্বার্থে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রী টেলেন্ট সার্চ স্কীম, মুখ্যমন্ত্রী ডেভেলপমেন্ট স্কীমের কথার উত্তেল্লখ করেন। তিনি বলেন, ত্রিপুরা আজ সমস্ত ক্ষেত্রে এগিয়ে চলছে। ক্রীড়া জগৎ-ও পিছিয়ে নেই। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ক্রীড়া সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী বলেন, ত্রিপুরার খেলোয়াড়রা আজ বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জণ করছে। রাজ্যের বর্তমান সরকার ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নতির স্বার্থে অনেক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি রূপায়িত করছে। রাজ্যের খেলোয়াড়রা ক্রীড়া জগৎ-এ বিভিন্ন শাখায় সুনাম অর্জণ করছেন। রাজ্য সরকারও প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে খেলোয়াড়দের উন্নতিকল্পে। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ আপন করেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। এছাড়া বক্তব্য রাখেন যোগাসন ভারতের মহাসচিব ড. জয়দীপ আর্য। উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা সতারত নাখ, কম্পিটিশন ম্যানেজার ড. সি কে মিশ্রা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ও অতিথিগণ বিভিন্ন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের হাতে পদক তুলে দেন।