১৮৯৩-এর পর ২০২৩ | এবছর ফের শিকাগোতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিশ্ব ধর্ম মহাসম্মেলন। সেখানেই ১৩০ বছর বছর আগে বিশ্ব ধর্ম মহাসম্মেলনে 'হে আমার আমেরিকাবাসী ভাই ও বোনেরা' বলে বক্তৃতা শুরু করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। উদ্যোগী বিবেকানন্দ বেদান্ত সোসাইটি অফ শিকাগো। আর্ট প্যালেসের যে সভাগৃহে বিবেকানন্দের ঐতিহাসিক বক্তৃতায় নড়ে বসেছিল আমেরিকা, সেই সভাগৃহ আজও আছে। তবে তার আয়তন অনেকটাই কমেছে। সাত হাজার আসনের ওই সভাগৃহে এখন মাত্র ৪০০ আসন। বক্তৃতার মঞ্চ সেই আগের মতোই সংরক্ষিত। সভাঘর বহরে কমলেও মার্কিন মাটিতে বিবেকানন্দের প্রভাব বেড়েছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। সেই কারণেই শিকাগোর বিবেকানন্দ বেদান্ত সোসাইটির প্রধান স্বামী ঈশাত্মানন্দকে নতুন করে ধর্ম মহাসম্মেলন আয়োজনে উদ্যোগী হতে গিয়ে দু'বার ভাবতে হয়নি। গত দশ বছর ধরে শিকাগোয় সোসাইটির ভার সামলে আসা স্বামী ঈশাত্মানন্দ আপাতত কলকাতায়। কয়েক দিনের মধ্যেই শিকাগো ফিরে গিয়ে মহাসভার তোড়জোড় শুরু হয়ে যাবে। তার আগে তিনি বলেন, 'ঠাকুর রামকৃষ্ণ দেহত্যাগের কয়েক বছরের মধ্যেই বিবেকানন্দ আমেরিকায় গিয়ে প্রথম সর্বধর্ম সম্মেলনের কথা বলে পশ্চিমকে চমকে দেন। আমাদের বরাবরের চেষ্টা ছিল সেখান থেকে আমরা কী করে আরও কিছুটা এগোতে পারি। সম্প্রতি ওই শিকাগোতেই 'হোম অফ হারমোনি' তৈরি করে সেই কাজ শুরু হয়েছে।' হোম অফ হারমোনি বা সমন্বয়-ঘরের মূল উদ্দেশ্য সর্বধর্ম সম্পর্কে যথাযথ শিক্ষা দান। এই হোম অফ হারমোনি তৈরির নেপথ্যেও একটি বিশেষ ঘটনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বামী ঈশাত্মানন্দ। তিনি বলেন, 'একটি মেথডিস্ট চার্চ বিক্রি হয়ে যাচ্ছিল। শিকাগোর বিবেকানন্দ বেদান্ত সোসাইটি সেই চার্চটি কিনে নিয়েছে। এখন সেখানে অনলাইনে বিভিন্ন ধর্ম বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। এর জন্য নিয়ম মেনে কোর্স তৈরি হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় পরে পরীক্ষা নিয়ে শংসাপত্রও দেওয়া হয়।' এই সমন্বয় ঘরেই রামকৃষ্ণের ২২ ফুট উঁচু একটি মূর্তি রাখা আছে। এটাই রামকৃষ্ণের দীর্ঘতম মূর্তি বলে জানাচ্ছে শিকাগোর বিবেকানন্দ বেদান্ত সোসাইটি।