পদোন্নতিতে ad-hoc পদ্ধতি পদোন্নতিতে সংরক্ষণ মামলার রায় অবশেষে প্রতিটি রাজ্য সরকারের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে l গত বছরের শেষদিকে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার বিশ্লেষণ করার পর হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আদেশ দেওয়ার ভিত্তিতে রাজ্য সরকার টিসিএস সহ প্রায় 20 হাজার সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন পদে পদোন্নতি দিতে সক্ষম হয়েছে l এটা সত্যি যে রাজ্য সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার দরুন এই দীর্ঘ বঞ্চনার অবসান হয়েছে, শুধু কোর্টের ভয় দেখিয়ে সংরক্ষণ ইস্যুতে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর নিয়ে ভোটের রাজনীতি করার ফলস্বরূপ পূর্বতন সরকারের তালবাহানা এ দীর্ঘ 25 বছর ও পদোন্নতি সম্ভব হয়নি l এটা অপ্রিয় হলেও সত্যি যে বর্তমান রাজ্য সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার দরুন কর্মচারীরা তাদের দীর্ঘ বঞ্চনার অবসান মিটালো l যাইহোক, পদন্নতির ক্ষেত্রে সরকার পক্ষ থেকে কোর্টের রায় মোতাবেক এড হক শব্দটি ব্যবহার করেছেন l এটাই স্বাভাবিক l কারণ অন্তিম রায় এখনো মহামহিম কোর্টে l যদিও সুপ্রিম কোর্ট শেষ অব্দি তাদের রায়ের 99.9% শেষ করে রাজ্য সরকারের ওপর ন্যস্ত করেছেন l রায়ে বলা হয়েছে যদি পদোন্নতির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের হাতে আরও সংরক্ষণ থেকে থাকে তাহলে যেন বিবেচনা করা হয় l পিন্টু রাজ্য সরকার সরকারি কোটা মোতাবেক পদোন্নতি দেয়ার পরও আরবে কিছু বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে সংরক্ষিত ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ পদ্ধতিতে আরো বেশি বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন 50 শতাংশেরও বেশি সুবিধা দিয়ে l অতএব রাজ্য সরকারের এ যাত্রায় কোনো ভুল হয়নি l তাই দেরি না করে সংরক্ষণ মামলার শেষ রায়ের অবসান ঘটিয়ে ad-hoc পদ্ধতি তুলে দিয়ে নিয়মিত করার ব্যবস্থা করুন l কারণ এ পদ্ধতি 1 বছরের বেশি রাজ্য সরকার রাখতে পারেন না l বিশ্বরূপ দেব আগরতলা