ভারতের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ (Highest Mountain Peak of India) হল K-2। এই পর্বতশৃঙ্গটি ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ (ভারতের পূর্বতন জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের)-এর গিলগিট-বাল্টিস্তান অঞ্চলের বাল্টিস্তানের অন্তর্গত। বর্তমানে এই অঞ্চলটি পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের আওতায় রয়েছে, যা ভারতেরই অংশ। ১৯৯৪ সালের ২২ শে ফেব্রুয়ারি ভারতের সংসদের উভয় কক্ষে সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, সম্পূর্ণ জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য (বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভাজিত) ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে এবং থাকবে। তাই, K-2 ভারতের অন্তর্গত। K-2 পর্বতশৃঙ্গটির উচ্চতা ৮৬১১ মিটার বা ২৮,২৫১ ফুট। এটি মাউন্ট এভারেস্টের পর বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ (Second Highest Mountain Peak in the World)। কারাকোরাম পর্বতশ্রেণীর অন্তর্গত এই পর্বতশৃঙ্গটি হল হিমালয়ের বাইরে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ। K-2 শব্দটির পুরো অর্থ হল কারাকোরাম-২। ব্রিটিশ ভারতে বৃহৎ ত্রিকোণমিতি সমীক্ষাকালে, দুর্গমতার কারনে এই শৃঙ্গের কোনো প্রতিষ্ঠিত স্থানীয় নাম না থাকার জন্য, এটিকে K-2 বলে চিহ্নিত করা হয়। ১৮৬১ সালে ইংরেজ সমীক্ষক হেনরি গডউইন-অস্টিন K-2 শৃঙ্গের নিকটবর্তী অঞ্চলের হিমবাহগুলি সমীক্ষা করেন এবং K-2 শৃঙ্গের অবস্থান ও উচ্চতা প্রথম পরিমাপ করেন। তাই অনেকসময়, K-2 শৃঙ্গটিকে মাউন্ট গডউইন-অস্টিন বলা হয়। বিশ্বের প্রথম পাঁচটি উচ্চতম শৃঙ্গের মধ্যে K-2 আরোহণ সবচেয়ে বিপদজনক। K-2 শৃঙ্গ আরোহণে গড়ে প্রতি ৪ জন পর্বতারোহীর ১ জন মারা যান। তাই এটি 'Savage Mountain' বা 'The Mountain of Mountains' নামেও পরিচিত। ১৯৫৪ সালের ৩১ শে জুলাই, দুই ইতালীয় পর্বতারোহী -- অ্যাচিল্লে কম্পাগনোনি এবং লিনো লেসডেল্লি সর্বপ্রথম K-2 শৃঙ্গ জয় করেন।