অর্থনৈতিক ভাবে ক্রমেই উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ। এখন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশের তালিকায় ৪১ নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। International Monetary Fund (IMF) এর সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। ওই রিপোর্ট অনুসারে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী প্রথম ৫০ টি দেশের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশের পাশাপাশি আছে ভারতও। IMF যে তালিকা দিয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার ($100 Trillion) নিয়ন্ত্রণ করে ওই ৫০টি দেশ। ওই রিপোর্ট অনুসারে, গত বছরে বিশ্ব অর্থনীতিতে শক্তিশালী দেশের তালিকা ৬ষ্ঠ স্থানে (Sixth Largest Global Economy) ছিল ভারত। এই বারেও একই স্থানে আছে ভারত। কিন্তু ওই সূচকে একধাপ এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। আগের বারে বাংলাদেশ ছিল ৪২ নম্বরে। তার থেকে একধাপ এগিয়েছে শেখ হাসিনার দেশ। যদিও গত বছরের তুলনায় GDP কমেছে বাংলাদেশের। IMF জানিয়েছে, এবার বাংলাদেশের Gross Domestic Product (GDP) ৩৯৭ বিলিয়ন ডলার। এটা বিশ্বর জিডিপির ০.৪ শতাংশ। গত বছরে ওপার বাংলার জিডিপি ছিল ৪০০ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা বেশি। এদিকে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করছেন সেই দেশের অর্থনীতিবিদরা। ওই সেতুর উদ্বোধনের দিনেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন যে ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হবে বাংলাদেশ। IMF-এর রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্বের সবচেয়ে কম GDP এমন দেশের তালিকায় নাম আছে ভুটানের। Bhutan-র জিডিপি মাত্র ৩ বিলিয়ন ডলার। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশ ওই তালিকায় আছে ১৬৩ নম্বরে। দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা ওই তালিকায় প্রথম ৫০-এ জায়গা পায়নি। IMF-র হিসাবে, ২০২২ সালের শেষে বিশ্বের অর্থনীতি পৌঁছাতে পারে ১০৪ ট্রিলিয়ন ডলারে। তারা জানিয়েছে, এই বছরেও বিশ্ব অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করবে United States। বিশ্ব অর্থনীতির নেতৃত্ব দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের GDP ইতিমধ্যেই ২৫.৩ ট্রলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। বিশ্বের অর্থনীতির নিয়ন্ত্রক তালিকায় আমেরিকার পরেই আছে চিন। চিনের (China) জিডিপি ১৯.৯ ট্রিলিয়ন ডলার। ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে জার্মানির পরেই আছে যুক্তরাষ্ট্র (UK)। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে এগিয়ে এসেছে বাজ্রিল। তবে, প্রথম দশে জায়গা পায়নি রাশিয়া। GDP-র ক্ষেত্রে ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে তারা আছে বিশ্বের ১১তম স্থানে। IMF জানিয়েছে গত দুবছরে করোনার প্রভাব পড়েছে বিশ্বের ছোট দেশগুলিতে। অর্থনীতির প্রভাব পড়ার সঙ্গে সেই দেশগুলিতে দেখা দিয়েছে খাদ্যসঙ্কট এবং মুদ্রাস্ফীতি।