মাননীয় সম্পাদক মহাশয়, সমীপেষু নতুন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা কে কালীমা লিপ্ত করতে সরকার পক্ষের কিছু সদস্য ও সরকারি কিছু সংস্থা উঠেপড়ে লেগেছে l গত 15 জুলাই রাজ্যের পিয়ার বিটি সংস্থা নতুন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে l আর এই বিজ্ঞপ্তি জারি হতে সারা রাজ্য জুড়ে টি. আর. বি. টি র বিরুদ্ধে চারিদিক খোপের আগুন জ্বলতে শুরু করেছে l এখানে উল্লেখ্য যে, 230 টি পোস্টের মধ্যে সাধারণ আসন 29 টি, এস. সি 29 টি এবং এস.টিদের জন্য 172 টি আসনের ঘোষণা করা হয়েছে l কিছু ভারতীয় সংবিধানে বলা আছে, যেকোনো সরকারি চাকুরি নীতিমালায় সাধারণ ক্যাটাগরির জন্য বরাদ্দ 52% এস সিদের জন্য 172 টি আসনের ঘোষণা করা হয়েছে l কিন্তু ভারতীয় সংবিধানে বলা আছে যে কোন সরকারি চাকুরি নীতিমালায় সাধারণ ক্যাটাগরির জন্য বরাদ্দ 52% এস.সিদের জন্য 17% এবং এস.টির জন্য 31% সংরক্ষণ নীতি মান্য বাধ্যতামূলক l কিন্তু বর্তমান ত্রিপুরা রাজ্য সরকার সংবিধান কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কাজকর্ম করে চলেছে l এতে অনেকে মনে করেন নুতন মুখ্যমন্ত্রীকে অযোগ্য ও হেয় প্রতিপন্ন করতে সরকারি আমলারা এ কাজ করে যাচ্ছেন l ইতিমধ্যে গত 15 জুলাই এর বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ক্যাটাগরির প্রার্থীরা টি.আর. বি.টির বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে বলে জানা গেছে l সাধারণ ক্যাটাগরির চাকুরী প্রার্থীদের বক্তব্য কিছুদিন আগেও টি.আর.বি টির সর্বশেষ এসটিজিটি এর জন্য 175 জন শিক্ষককে নিয়োগপত্র দিয়েছে l এতে সংবিধানে সাধারন প্রার্থীদের 52% সংরক্ষণের কথা বললেও একটি আসনও ওদের জন্য রাখা হয়নি l তাই সাধারণ ক্যাটাগরির প্রার্থীরা আর বঞ্চনা সহ্য করবে না l অতিসত্বর তারা এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ অধীনে চলে গেলে টি. আর. বি. টি র হাল পশ্চিমবঙ্গের মতো হবে বলে অনেকে মনে করছেন l ইতি - সুদীপ দেব, আগরতলা